Wednesday, June 6, 2012

মিথুন (২২ মে - ২১ জুন ) : সাধারন বৈশিষ্ট্য

কীভাবে চিনবেন

কখনও যদি কোন মিথুন জাতক আপনাকে বলে যে আপনি সবকিছু দুইটা করে দেখতে শুরু করেছেন তাহলে ঝটপট করে চশমাটা বদলে ফেলবেন না যেন। শুধু মনে রাখবেন, মিথুন হচ্ছে দুই-এর রাশি, আর তার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপরায়ণ ব্যক্তিত্বের দুইটি পুরোপুরি আলাদা দিক রয়েছে। এখনই আপনি সেটা দেখবেন, আবার এখনই সেটা অদৃশ্য হবে। এইসব দ্রুত পরিবর্তনশীল ব্যাপারগুলোর মধ্যে আপনি যেটা ধরতে পেরেছেন সেটা কি ভালোবাসা? ঘৃণা? পরমানন্দ? বুদ্ধিমত্তা? ভাববাদীতা? দু:খ? আনন্দ?মিথুনের এইসব পরিবর্তনশীল অনুভূতিগুলি ডিস্কো স্টেজের মাতাল করা লাইটগুলো দেখবার মতোই উত্তেজনাকর। বলা মুশকিল ঠিক কোথায় বাস্তবতার শেষ হচ্ছে আর ঘোরের শুরু হচ্ছে। তারা মিলিত হয় তারপর আবার আলাদা হয়।

এই বহুমুখী সৃষ্টিটাকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে সেটা জানবার আগেই কিছু চিন্তা করা প্রয়োজন। সে হয়তো আজ এক জায়গায় আছে তো কাল অন্য জায়গায়। মিথুন তার জামা কাপড়, চাকরি, ভালোবাসা কিংবা বাসস্খান তার মনের ভাবের মতোই যখন তখন বদলে ফেলতে পারে। আর সেটা সে খুব দ্রুতই পারে। জানবার জন্য একটা ভালো উদাহরণ হয়তো আপনাকে একপায়ে দাঁড় করিয়ে রাখবে। আপনি একটা বইয়ের দোকানে যেতে পারেন। সে হচ্ছে চোখ বুলানো পাঠক। সে যে কোন বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টিয়েই বইটির ভেতরের তথ্য বলে দিতে পারে। ( আর তাই জন. এফ. কেনেডী যে একজন দ্রুতগতির পাঠক ছিলেন এটা কোন দুর্ঘটনা ছিলো না ) বুধ জাতকদের মধ্যে শেষ পৃষ্ঠা প্রথমে পড়ার একটা নোংরা স্বভাব রয়েছে। যদি আপনি কোন মিথুন জাতককে পান যে একটা বই প্রথম থেকে পড়তে শুরু করে মাঝপথে বিরক্ত না হয়েই শেষ পর্যন্ত পড়েছে তাহলে তাকে পাবনা মেন্টাল হসপিটালে একটা অদ্ভুত সাবজেক্ট (পাগল) হিসেবে পাঠিয়ে দিন (কিংবা তার জন্মকুষ্ঠিতে মিলিয়ে দেখুন যে তার মধ্যে বৃষ, মকর কিংবা অন্যান্য স্খিরচিত্ত রাশিগুলোর প্রভাব আছে কিনা।) মিথুনেরা তাদের অন্যান্য সব কাজের মতোই বইয়ের আগে পিছে বাদ দিয়ে পড়তে ভালোবাসে। বিস্তারিত...

No comments:

Post a Comment