Tuesday, June 12, 2012

কর্কট (২২ জুন - ২২ জুলাই) : বসদের বৈশিষ্ট্য

কর্কটের কৌতুকপ্রিয় মনোভাব সম্পর্কে অবহিত হবার পর আপনি নিশ্চয়ই ভেবে নিয়েছেন যে অফিসের বস্ যদি হয় কর্কট তাহলে অফিসের পরিবেশটা হবে সত্যিই মজার।কর্মচারী/কর্মকর্তগণ কর্কট বস্টির রসিকতা আর ভাঁড়ামীর ভক্তগোছের কিছুই হবে। নিশ্চয়ই এরকম একটা অফিসে কাজ করাটা অনেকটা নাইটক্লাবে কাজ করবার মতোই রোমহর্ষক হবে - আহা, এমনটা নয় - একদমই নয়।

আপনি যদি টিভির কিংবা সিনেমার কোন কৌতুক অভিনেতার সাথে কাজ করেন তাহলে এরকমটা হতেও পারে। অন্য যেকোন ক্ষেত্রে, পানীয় কিংবা খাবারের চিন্তাটা মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারেন, আর আপনার টাইটাকে সোজা করে নিয়ে কৌতুকরসের কথাও ভুলে গেলে ভালো করবেন। গম্ভীর প্রকৃতির, পরিশ্রমী কর্কট বস্ তার কাজের মধ্যে কোন রকম ছেবলামী পছন্দ করেন না। তার কৌতুকবোধ জেগে উঠতে পারে কোন একজন অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাসী প্রতিদ্বন্দ্বীকে ব্যর্থ হতে দেখে, কিংবা নিজের যোগ্যতা প্রদর্শন করবার আগেই মলিন হাসি নিয়ে তাকে বেতন বাড়াবার কথা বললে - কিংবা এ জাতীয় যেকোন ক্ষেত্রে। এই ধরনের ক্ষেত্রে তার ভেতরের কৌতুকরসের হাড়িটা ঠিকই নড়ে উঠবে। আর মুখের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত হাসিটাও বেড়িয়ে আসবে। অন্য কোনকিছুই হয়তো এতোটা মজা আর হাস্যের সৃষ্টি তার মধ্যে করতে পারবে না। রসিকতাবোধটা এখনও সেখানেই আছে, তার ঝকঝকে ব্যবসায়িক চেহারা, আর তুষার-শুভ্র কলারটার নিচে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেটাকে সে খুবই সাবধানতার সঙ্গেই মেলে ধরবে। তার বেশিরভাগ হাসিই সে অন্যকে নিয়ে কটাক্ষ করবার কিংবা কারো ভুল নিয়ে মজা করবার, কিংবা কোন বিচলিত চিত্তকে ঠাণ্ডা করবার ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করবে - আর সাধারণত তার কণ্ঠস্বর সেক্ষেত্রে সহানুভূতিশীল থাকবে। প্রতিদিনের সাত ঘন্টা ৫৯ মিনিটই বরং হবে কৌতুকহীন, এমনকি হাসিহীন।

আমি কর্কট বস্টিকে সাইমন লেগ্রের সাথে তুলনা করে ভীত করে তুলতে চাইছি না (যদিও তার মতোন অনেক কর্কট বস্ই পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে।)। আমি শুধু বলছি যে আপনার চাকরি যদি পাকাপোক্ত করতে চান তাহলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন প্যান্ট-শার্ট পরিপাটি করে পরুন, আপনার চুল সিথি করে অফিসে আসুন, আর নিজের মস্তিষ্কের ক্ষমতাকে কিছু সংখ্যক দ্রুত চিন্তাশীল মস্তিষ্কের সারিতে আনবার জন্যে সচেষ্ট হন। তাহলেই আপনি সাচ্ছন্দেই দ্বিতীয় কলাতে পরিণত হতে পারবেন। সবচে উঁচু পদে পদস্খ যে কলাটির মনে নিজের একটা জায়গা করে নেবার কথা ভেবে অফিস ব্রেকে আপনি কৌতুক রসে ভেজাবার চেষ্টা করছেন, সে বোধহয় তার পলিশ করা বিশাল মেহগনী কাঠের ডেস্কটার ওপাশে বসে আছে - তার একপাশে ঝুলছে তার মায়ের ছবি, আর অন্যপাশে পরিবারের সাথে তোলা অন্যদের সম্মিলিত ছবি। আপনি কি ভাবতে পারেন যে ক্যালভীন কুলিজের ক্যাবিনেটে যদি তিনি কাউকে উদ্দ্যেশ্য করে মিটিংয়ের মধ্যেই বলে বসতেন, “তোমার সাথে গতরাতে যে ভদ্রমহিলাকে দেখলাম সে কে?” - তাহলে অবস্খাটা কেমন হতো? আমি একজন কর্মকর্তাকে চিনতাম যে তার প্রতিষ্ঠানের একজন নামী ক্রেতাকে পণ্য সরবরাহের তারিখ বলায় ভুল করেছিল। বিস্তারিত...

Monday, June 11, 2012

কর্কট (২২ জুন - ২২ জুলাই) : সহকর্মীদের বৈশিষ্ট্য

কর্মকর্তা/কর্মচারী হিসেবে কর্কট জাতক জাতিকাদেরকে পাওয়া খুবই ভালো লক্ষণ, কেননা তারা শুধু আপনার জন্যেই কাজ করে। সম্মান পাবার জন্যে কিংবা রহস্যাবৃত ক্রোমোজমের ক্রিয়া সাধনের উপায় হিসেবে নয়।আর আপনার রিসেপশনিস্ট-এর সাক্ষাৎ পাবার উদ্দেশ্যে সে চাকরি করছে এমনটিও নয়। কাজকে সে কখনই নিজের আত্মগরীমা দেখাবার মাধ্যম কিংবা কফি খাবার সময়টুকুর মাঝখানের বিরাট বিরাট অবসরগুলো কাটাবার মাধ্যম হিসেবে মনে করে না। সে কাজ করে শুধু একটা কারণে আর সেটা হলো নিরাপত্তা, অর্থাৎ বেতনের টাকা।

আপনার বোঝা উচিত যে কর্কটদের বেতনটা অবশ্যই এমন হতে হবে, যেন দিনকে দিন বাড়বার সুযোগ থাকে। যতই দিন যাবে, আর সে অভিজ্ঞতা অর্জন করবে, নিজের বিশ্বস্ততা প্রমাণ করবে এবং নিজের প্রতিভা কিংবা ক্ষমতা প্রদর্শনে সমর্থ হবে - ততই সে আরও বেশি বেতন প্রত্যাশা করবে। তার আয় তার শ্রমের সাথে অবশ্যই সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। তার প্রদেয় শ্রম এবং সেটা থেকে কোম্পানির লাভ দিন দিন বাড়বে বই কমবে না। তার বেতনটা তাই অবশ্যই সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে, না হলে তাকে তার স্বভাববিরুদ্ধ কাজটিই করতে হবে - আর সেটা হলো চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন করে কাজের খোঁজ শুরু করা। কর্কটের পক্ষে কোন কিছু ত্যাগ করা সহজ ব্যাপার নয়। তা সেটা তার টুথব্রাশই হোক কিংবা হোক পুরোনো সুস্খ হয়ে উঠবার কার্ড, বা জুতোর ফিতা, মোজা, নারী, কালিহীন বলপয়েন্ট কলম কিংবা চাকরি। সে শক্ত মুঠিতে আঁকড়ে ধরে রাখে, আর তার থাবা থেকে ছুটিয়ে নেয়া সহজ কাজ নয়। তার স্বভাবে নির্ভরশীলতা আর একগুঁয়েমী যেন আঠা দিয়ে লাগানো হয়েছে। আর এই বৈশিষ্ট্যগুলো তাকে তার সফলতার সিঁড়ি বেয়ে উঠতে সাহায্য করে। তার উপরে উঠবার পথে যখন প্রতিকূলতা পথরোধ করে দাঁড়াবে তখন সে হয়তো কেঁপে উঠবে, থমকে দাঁড়াবে। কিন্তু তার সব দু:খ-কষ্ট আর ভয়-ভীতি স্বেচ্ছায় তার শক্ত খোলসটার মধ্যেই আটকে থাকবে। কর্কটদের স্বভাবসুলভ শান্ত আচরণ সত্ত্বেও, যেহেতু কর্কট হচ্ছে ভিত্তির রাশি তাই তারা যেন জন্মেই ছিল দায়িত্ব পালনের উদ্দ্যেশ্যে - নেতৃত্ব দেবার উদ্দ্যেশ্যে, অনুসরণ করবার জন্য নয়। তারা হয়তো তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আদেশ শান্ত বশ্যতার মধ্যে দিয়েই গ্রহণ করবে। কিন্তু সেটা শুধুই একটা কারণে তারা করে - আর কারণটা নিশ্চই আপনার অজানা নয়। কর্কট বাধ্য হয়ে কাজ করে, কারণ সেটার পেছনে তার একটা গোপন লক্ষ্য কাজ করছে। সে যে বিশাল প্রাসাদ তৈরি করতে যাচ্ছে সেটার ইটগুলোর যোগান দেয় তার এই চাকরি। যেই না তার এই শক্ত ভিত্তিটা গড়া হয়ে যাবে, অমনি সে নিজের হাতে শাসনের ভার তুলে নেবে। অন্য কথায়, সে আসলে নিজেই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পদে উন্নিত হতে চায়। আর তার এই ইচ্ছা এক মুহূর্তের জন্যেও তাকে ছেড়ে যায় না। আর সঙ্গত কারণেই আপনারও উচিত এই ধরনের চিন্তাটা আগে ভাগে করে রাখা।

কর্মকর্তা/কর্মচারী হিসেবে কর্কট জাতক জাতিকাদেরকে পাওয়া খুবই ভালো লক্ষণ, কেননা তারা শুধু আপনার জন্যেই কাজ করে। সম্মান পাবার জন্যে কিংবা রহস্যাবৃত ক্রোমোজমের ক্রিয়া সাধনের উপায় হিসেবে নয়।আর আপনার রিসেপশনিস্ট-এর সাক্ষাৎ পাবার উদ্দেশ্যে সে চাকরি করছে এমনটিও নয়। কাজকে সে কখনই নিজের আত্মগরীমা দেখাবার মাধ্যম কিংবা কফি খাবার সময়টুকুর মাঝখানের বিরাট বিরাট অবসরগুলো কাটাবার মাধ্যম হিসেবে মনে করে না। সে কাজ করে শুধু একটা কারণে আর সেটা হলো নিরাপত্তা, অর্থাৎ বেতনের টাকা। বিস্তারিত...

Sunday, June 10, 2012

মিথুন (২২ মে - ২১ জুন ) : নারীদের বৈশিষ্ট্য

আপনি কি মনে মনে সবসময় পোষণ করেছেন যে ব্রায়হাম ইয়াং-এর ‘একজন পুরুষের একাধিক স্ত্রী থাকা খারাপ কিছু নয়’ এ ব্যাপারে সমর্থন প্রদানটা ছিলো সত্যই চমৎকার? আপনি কি পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পদশালীদের হারেম দেখে মনে মনে ঈর্ষান্বিত হন? আপনাকে আর দু:খ নিয়ে ওয়াল্টার মিট্টির রোমান্টিক দিবাস্বপ্নের মধ্যে নিজেকে সমর্পন করতে হবে না। বরং একজন মিথুন নারীকে খুঁজে নিয়ে বিয়ে করে ফেলুন। আপনাকে নিশ্চিত করা যাচ্ছে যে এতে করে আপনি অন্ততপক্ষে দু’জন পৃথক স্ত্রীর মজা নিতে পারবেন। আর কিছু কিছু সপ্তাহান্তে তিন কিংবা চারজন ভিন্ন স্ত্রীর মজাও পেয়ে যেতে পারেন।

প্রাকৃতিকভাবে, এখানে একটা ছোট্ট রহস্য রয়েছে। দ্বৈততার রাশিতে জন্ম নেয়া একজন নারীর সাথে হারেমের একটি নারীর পার্থক্য হলো এই যে, প্রথমোক্ত জনে পার্থিব আকাঙ্খার অভাব রয়েছে। তার গভীর প্রণয় আর আবেগি ভালোবাসা পাবার জন্য তাকে সময় ধরে শান্ত করে নিতে হয়; আর এই কাজটা বেশ কষ্ট সাপেক্ষ। তার মন সবসময়ই উড়ে বেড়াচ্ছে আর একই সাথে তার বর্ণনাও সমান তালে চলমান। কিন্তু তার গভীরে ভালো করে আলোকপাত করুন, আরো বেশ কয়েকজন নারীর ভেতরে কোথাও একটা সে আছে যার মন প্রণয়ের জন্যে গভীরভাবে তাড়না দেয় - অবশ্য সে তাড়নার সঞ্চার করতে হলে আপনাকে তার মানসিক, আধ্যাত্মিক এবং শারীরিক চাহিদাগুলোর সমন্বয় সাধন করে দিতে হবে। তাকে বাইরে বের করে আনবার পাশাপাশি তার ভেতরের অন্যান্য নারীসত্তাগুলোকে উপভোগ করাটা ঝামেলা মুক্ত নয়। আমি আপনাকে বলতে পারি যে, একটা মিথুন নারী চার পাঁচজন সাধারণ নারীর সমান। তবে আশঙ্কা এই যে, এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে; আপনি কতটুকু সেই উচ্চতর বীজগণিতটা সঠিকভাবে কষতে পারবেন সেটার উপর নির্ভর করছে এক এক করে এই বিভিন্ন সত্ত্বাগুলোর আবির্ভাব। প্রত্যেক সত্ত্বার জন্য আপনাকে আলাদা আলাদা অংক কষতে হবে।

আপনি তার কাছ থেকে কি প্রত্যাশা করতে পারেন এ ব্যাপারে তার বয়সটা একটা গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে। মিথুন নারী পরিপক্বতা লাভের আগ পর্যন্ত রোমান্সকে একটা খেলা বলেই মনে করে। সে চরমমাত্রায় পরিবর্তনশীল আর দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে। হয়তো সে আপনার হাসি, কন্ঠস্বর, এমনকি আপনার হাটার ভঙ্গি দেখেই আপনার প্রতি আবেগে উদ্বেলিত হয়ে উঠবে। তারপর সে তার আতিশয্যকে বিপরীতমুখে চালিত করবে, আর আপনার মোজো থেকে শুরু করে চুল কাটার ধরন সবকিছুকেই এমনই চতুরতার সাথে কটাক্ষ আর নিন্দা করবে যে সে ক্ষতটাকে সারতে আপনার আয়োডিনের প্রয়োজন হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু এ কথা শুনে বিয়ে কিংবা প্রেমের বাজার থেকে আপনার মিথুন নারীটিকে আগেভাগেই ছেটে ফেলবেন না যেন। মনে রাখবেন আপনি একজনের জায়গায় অন্ততপক্ষে দুজনকে পাচ্ছেন, আর এটা যে লাভজনক সেটা নিশ্চয়ই অবিতর্কিতভাবে মেনে নেয়া যায়? বিস্তারিত...

মিথুন (২২ মে - ২১ জুন ) : পুরুষদের বৈশিষ্ট্য

ভালোবাসা আপনার বুকে উষ নিরাপত্তার একটা চমৎকার শিহরণ জাগায়। আর আপনার বুকে সেই স্বর্গীয় অনুভূতিটির জন্ম দেয় যে, আপনার অসময়ে একজন অন্তত আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে। আপনাকে একাকী সবকিছুর মোকাবিলা করতে হবে না। আপনার মনে যেসব দ্বিধা-দ্বন্দ্বগুলো ছিল সব অদৃশ্য হয়ে যায়। অর্থাৎ বুধ-শাসিত সেই মিথুনটির সঙ্গে প্রেমে পড়ার আগে যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আপনার ছিল সব মুছে যায়। প্রেমে পড়ার পর সে যেন আপনাকে সেই ‘উষ নিরাপত্তা’র কিনারে নিয়ে যায়। বস্তুত, আপনি তাকে কোন একটা মজার খাবার কোন এক সোমবারে পাঠিয়ে যদি পরবর্তী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তার কাছ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা না করে থাকতে পারেন তাহলে তার সঙ্গে আপনার ভালো মিল হবে। কখনই তার খোঁজ করবেন না। যদি না দেখেন যে সে নিজেই আপনার খোঁজে আসছে। আর সে যখন বিদায় নিয়ে চলে যেতে উদ্যত হয় তখন তার জামার কোণাটা ধরে ঝুলে না থাকাই আপনার জন্য ভালো হবে।

একবার আপনি নিজেকে তার অস্খির আর সদা পরিবর্তনশীল তৎপরতার সঙ্গে সহজ করে নিতে পারলে বুঝবেন যে, আপনাদের প্রেমটা সফল হতে চলেছে। কিন্তু ‘সেই স্বর্গীয় অনুভূতিটি, যে আপনার অসময়ে একজন অন্তত আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে’ন্ধ এই প্রত্যাশাটা আপনার পূরণ হওয়ার নয়। আপনি কখনই নিশ্চিত হতে পারবেন না এই মানুষটা কখন কোথায় থাকবে। এই ব্যাপারটা আপনার মধ্যে সেই সব দ্বিধা-দ্বন্দ্বের জন্ম দেবেথন্ধ যেগুলো প্রেমে পড়লে অদৃশ্য হয়। এটা সত্য যে, আপনি মিথুনের প্রেমে পড়লেই আপনাকে একা সবকিছুর মোকাবেলা করতে হবেন্ধ এমন নয়। খুব সম্ভবত, আপনার এ সমস্যাটা হবে না। আপনার অসময়ে অন্তত দু’জন মানুষ পাশে এসে দাঁড়াবে। এই দুজনই আপনার মিথুনটির দুইটি সত্তা। আপনি তো জানেন সে জন্মই নিয়েছে দুই সত্তার রাশিভুক্ত হয়ে। তার ক্ষেত্রে এই যমজ দু’জন কিন্তু মোটেও একপ্রকৃতির নয়। মিথুনের দ্বৈত সত্তা তার মধ্যে দু’টি সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী ব্যক্তিত্বের জন্ম দেয়। আপনি হয়তো বুধের সেই একজন বিশেষ জাতকেরই প্রেমে পড়বেন যার ভেতর তিনটি, এমনকি চারটি ভিন্ন সত্তা রয়েছে। যদি সেটাই হয় তাহলে আপনাকে সঙ্গ দেয়ার জন্য লোকের অভাব আপনার হবে না। এমনকি যখন তার সঙ্গে আপনি এক থাকবেন তখনও।

মিথুনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জাতক প্রত্যেক গৃহকত্রীরই প্রিয় মানুষ। সে মানুষ পছন্দ করে। মানুষ যতো বেশি থাকবে ততই তার আনন্দ বাড়বে। মিথুন, অথচ কথা বলে আনন্দ দিতে পারবে নান্ধ এটা যেন হওয়ারই নয়। তার মধ্যে সূক্ষ্ম রুচিবোধ রয়েছে আর চতুর মন্তব্য দিয়ে তার মাথাটা যেন পরিপূর্ণ। তার প্রশংসাগুলো যেন উষ সততার অভিন্ন বহি:প্রকাশ।নির্ভুল আচার-আচরণে আর সামাজিকতার ক্ষেত্রে সে যেন প্রভূত দক্ষতার অধিকারী। কোন অনুষ্ঠান সে একা পরিচালনা করলেও যেন বহু ব্যক্তিত্বের পরিচালনায় চালিত বলে মনে হয়। বিস্তারিত...

মিথুন (২২ মে - ২১ জুন ) : সন্তানদের বৈশিষ্ট্য

যদি সারস পাখিটা আপনার বাড়িতে একটা মিথুন শিশু পৌছে দিয়ে যায় তাহলে দ্রুত আপনার রোলার স্কেট (চাকাওলা জুতো) ঠিক ঠাক করে ফেলুন আর আপনার মস্তিষ্ক থেকে মাকড়সার ঝুলগুলো ঝেড়ে ফেলুন। আগামী ১৫/২০ বছরের জন্য আপনাকে সদাসতর্ক থাকতে হবে।আর ভালো হবে যদি এখনই আপনার কাজ শুরু করতে পারেন। কেননা বুধ থেকে পাঠানো আপনার ছোট উপহারটা এখনও তার ছোট বিছানায় বন্দি হয়ে আছে। কথা বলা কিংবা হাটা শিখতে তার বেশিদিন লাগবে না। আপনি যদি তার সাথে সমান তালে চলতে না পারেন তো সে যখন তখন মুঠো ভর্তি বাতাসের মতো আঙ্গুলের ফাক দিয়ে বের হয়ে যাবে। আপনি কি কখনও বাতাস মুঠো করে ধরবার চেষ্টা করে দেখেছেন?

আদমশুমারী দপ্তরের গবেষণা অনুযায়ী মিথুনের সময় সীমার (মে ২০ - জুন ২০) মধ্যে যমজ শিশু জন্মের সংখ্যা বছরের অন্য সব সময়ের থেকে বেশি। সুতরাং জুন মাস হয়তো আপনাকে যমজ - কিংবা আরও বেশি সন্তান এনে দেবে। না? আগেভাগেই নিশ্চিত হবেন না। আপনি হয়তো শুধু দশটা হাতের আর দশটা পায়ের আঙ্গুল গুণে এই বুঝবেন যে হ্যা বাচ্চাতো একটাই। কিন্তু একই সিদ্ধান্ত আপনি মিথুন শিশুর ক্ষেত্রে নিলে সেটা ভুল হবে। আপনার অংকের ধারণায় সামান্য পরিবর্তন আনতে হবে। সে যখন হামাগুড়ি দিতে শুরু করবে তখন আপনি বুঝবেন আমি কি বলতে চাইছি। দিনে এক ডজন বার ঘটনাটা ঘটবে। আপনি কসম খেয়ে বলবেন যে বাচ্চাটাকে এক সেকেন্ড আগেই খাবার রাখবার ঘরে মিক্সারের ভেতরে আঙ্গুল দিয়ে খেলতে দেখেছেন। কিন্তু সেটা কী করে সম্ভব? সে তো ঐখানে, ঘরে ঢুকবার সমুখের পথটাতে বসে বসে মহাআনন্দে আইসক্রিম খাচ্ছে। কী করে সে একই সাথে দুই জায়গায় থাকতে পারে? মনে রাখবেন আপনার সন্তান বুধ শাসিত। আপনার সন্তান হলো গ্রীকদের সেই প্রভু যার ছবি বইয়ের পাতায় দেখতে পাবেন। সেই যে পায়ে তার ডানা আছে আর মাথার উপর উজ্জ্বল সিলভার রঙের হেলমেট আছে। হেলমেটের জায়গায় একটা ফন্সাইং প্যানই না হয় আপনার শিশুটির মাথার উপর উল্টো করে রাখুন আর তার নরম কোমল দুটি পায়ে ডানাগুলো কল্পনা করে নিন। এখন কি আপনি কোন মিল পাচ্ছেন?

মায়েরা শপিং-এ যাবার সময় ঘোড়ার লাগামসদৃশ যে ব্যাগটা দিয়ে শিশুদেরকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নেয় - সেটা ব্যাক্তিগতভাবে আমি কখনই সমর্থন করি না। আমার মনে হয় যে তারা তাদের কুকুরকে হাটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যাইহোক, আমি বরং শক্তভাবে পরামর্শ দিচ্ছি - আপনারা যারা মিথুন শিশুর মা তারা দুই তিনটা এই বস্তু কিনে রাখুন - অন্ততপক্ষে নিরাপদে থাকবার জন্য। বিস্তারিত...

মিথুন (২২ মে - ২১ জুন ) : বসদের বৈশিষ্ট্য

একদিন আপনার মিথুন বস্ একটা হাটা চলা করা ঘড়িতে পরিণত হবে আর তার ক্যামেরার মতো চোখ কফি খাবার সময়টাতে কয়টি সেকেন্ড আপনি অযথা নষ্ট করেন সে হিসাবটা করতে ভুল করবে না। আবার অন্য একদিন আপনি যদি লাঞ্চে গিয়ে তিন ঘন্টা দেরি করেও ফেরেন তো সে হয়তো সেটা খেয়ালই করবে না।আপনি হয়তো একটা কয়েন টস্ করে তার পরিবর্তনের একটা পূর্ব ধারণা পেতে চাইবেন - আর সেটা তেমন অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমি বুঝি যে কোনদিন তার আচরণটা কেমন হবে এটা জানতে পারলে আপনার একটা বড় উপকার হতো।

কিন্তু মিথুন কর্মকর্তা নিজেই জানেনা পরেরদিন সকালে বিছানার কোন পাশটাতে শুয়ে তার ঘুম ভাঙ্গবে। আর যেহেতু সে নিজেই জানেনা, তো বলুন আপনাকে তার আচরণের কি ভবিষ্যৎ বাণী আপনাকে করা সম্ভব? তার ব্যাপারে সবচে নিরাপদ অনুমান হলো আজ সে যেমনটি থাকবে কাল ঠিক তার বিপরীত মেজাজে থাকাই তার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক। আর তাই আজ যদি তার মেজাজটা ভালো থাকে তাহলে আগামীকালের জন্যে কোমর বেধে প্রস্তুতি নিন।

মিথুন বস একজন অস্খিরমনস্ক কিন্তু তা স্বত্ত্বও একজন উজ্জ্বল ভবিষ্যতসম্পন্ন কর্মকর্তা। অন্যান্য রাশির পরিবর্তনমনস্ক জাতক, যেমন কন্যা, মীন, ধনু - প্রেসিডেন্টের পদে নিজেকে স্খির ভাবে ধরে রাখতে যতোটা সক্ষম তার চেয়ে মিথুন বেশ সহজেই ঐ অবস্খানে টিকে থাকতে সমর্থ কিন্তু তার সমগ্র জীবনটাকেই সে নেতৃত্বপরায়ণতা আর আদেশ করবার কাজে নিযুক্ত করে রাখতে অভ্যস্ত নয়। যে মিথুন মনে করে যে বড় একটা প্রতিষ্ঠানকে সে শান্তিময় একটা নিশ্চয়তার সাথে পরিচালনা করতে সক্ষম সে অযথাই নিজেকে ভুলাচ্ছে (ব্যতিক্রমটাকে ধরে নিয়েই, অর্থাৎ যদি তার মধ্যে তুলা কিংবা সিংহ রাশির প্রভাব থাকে)। একসাথে একঘন্টা সময় তার পক্ষে কোন একটা নির্দিষ্ট ডেস্কের পেছনে স্খির হয়ে বসে থাকা সম্ভব নয়। যদিও মিথুন জাতক, প্রেসিডেন্ট কেনেডী নেতৃত্বের বোঝাটা বেশ নৈপুণ্যের সাথেই বহন করবার ব্যতিক্রম দৃষ্টান্তটি দেখিয়েছেন। তিনি তার রকিং চেয়ারটাকে দুলতে দিয়ে নিজের স্নায়ু শক্তিটাকে বশে আনতে পেরেছিলেন। বিস্তারিত...

মিথুন (২২ মে - ২১ জুন ) : সহকর্মীদের বৈশিষ্ট্য

আপনার অফিসে কি এমন কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী রয়েছে যারা খুব দ্রুত কথা বলে, দ্রুত চলাফেরা করে চিন্তা ভাবনাও করে দ্রুত? তারা কি দেখতে তরুণ, আর নিজেদের বয়স ভুলে ছেলেমানুষী আচরণ করে? তাদেরকে ঠিক বোঝা যায় না? তারা কি অস্খির, সৎ এবং অধৈর্য? আপনি সত্যই একজন স্মার্ট বস্! আপনি ঠিকই কিছু মিথুনকে নিয়োগ করেছেন। কেন, সেটা বোঝা কোন কঠিন ব্যাপার নয়। তাদের চমৎকারিত্ব আর চালাকি আর বলাই বাহুল্য তাদের সৃষ্টিশীল কল্পনা আর চিত্তাকর্ষক বুদ্ধিমত্তা দেখে আপনি নিজেকে ফেরাতে পারেন নি। এখন যেহেতু বুধ-শাসিত মানুষগুলোর কাজকর্ম সামনা সামনি পর্যবেক্ষণের সুযোগ আপনার হয়েছে তাহলে আপনি নিশ্চয়ই জেনেছেন যে কোন বিমূর্ত ব্যাপারকে একটা কার্যকর সূত্রের আকারে তৈরি করবার ক্ষেত্রে অফিসে তাদের সমকক্ষ আর কেউ নেই। আপনার কুম্ভ কর্মকর্তা/কর্মচারী বন্যের মতো একটা বিমূর্ত ব্যাপারকে সমুখে তুলে আনতে পারবে, আপনার মেষ কর্মকর্তা/কর্মচারী উত্তেজনার আতিশয্যে আগুন-গরম একটা পরিকল্পনা উপস্খাপন করতে সক্ষম, আর কন্যা কর্মকর্তা/কর্মচারী বিশদ হিসাব নিকাশগুলো বিন্দুমাত্র ভুল ছাড়াই পরিচ্ছন্নভাবে টুকে রাখতে পারবে। কিন্তু মিথুন এই তিনটি কাজ একাই করতে পারবে।

কিন্তু এই তিন গোষ্ঠির কর্মকর্তা/কর্মচারীকে চাকুরিচ্যুত করবার আগে স্মরণ করুন, মেষদের অতি দৃঢ় চালিকাশক্তিটা মিথুনদের মধ্যে নেই, আর ওভারটাইম কাজ করতেও তার আগ্রহ নেই। আর কুম্ভের মতো ধীর স্খির লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করবার ধৈর্যটা নেই। আর সে কোনদিনই বুঝবে না কন্যাদের অন্তহীন, উজাড় আত্মনিয়োগের মাহাত্য। আমরা অন্য রাশিগুলোকে নাই টানলাম এ আলোচনায়। আপনি নিশ্চয়ই এর মধ্যেই সাধারণ একটা ধারণা নিতে সক্ষম হয়েছেন। আপনার মিথুন কর্মকর্তা/কর্মচারীর চরিত্রে দ্বৈততা থাকলেও সে একাই সবকিছু করতে সক্ষম নয়। সে একাই একশ এরকম ভাববার কোন কারণ নেই। একাই একশ হবার ক্ষেত্রে অন্য সবার থেকে তার সম্ভবনা অনেক বেশি যদিও অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারীদেরকেও আপনার একই রকম প্রয়োজন হবে। বিস্তারিত...