Wednesday, June 6, 2012

কর্কট (২২ জুন - ২২ জুলাই) : সাধারন বৈশিষ্ট্য

কীভাবে চিনবেন

চাঁদ যখন রুপালি আলো বিলায় তখনই মানুষরূপী কাঁকড়াদেরকে খুঁজে পাবার শ্রেষ্ঠ সময়। রাত্রিতে যখন তারা কল্পনার চাদর জড়িয়ে স্বপ্নের মায়াজাল বুনতে শুরু করে তখনই তাদেরকে চিনে নেয়াটা সহজ। চাঁদের আলোও তাদের সাথে চমৎকারভাবে মানিয়ে যায়, যেন এটা তাদের ভিন্ন ভিন্ন মনোভাব আর আবেগের সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়।



গ্রামে কিংবা শহর থেকে দূরে কোন নিরিবিলিতে পরিষ্কার আকাশের নিচে চাঁদের আলো উপভোগ করবার অনেক উদাহরণ দেখবেন কর্কটদের মাঝে। শহরের দূষিত আবহাওয়ায় এটা খুঁজে পাওয়া কঠিন হলেও আপনি এর প্রমাণ অবশ্যই পাবেন বিভিন্ন প্রবন্ধে। চাঁদের রূপ আর আকারের পরিবর্তনটাই লক্ষ্য করুন। চাঁদ যখন আস্তে আস্তে পরিপূর্ণ হতে শুরু করে তখন তার আলোও বাড়তে থাকে আর সে নিজেও তার পরিপূর্ণতা পেয়ে একটা গোলাকার পিণ্ড হয়ে আকাশে ঝুলে থাকে। আর যখন এটা ক্ষয়ে যেতে থাকে, তখনও ধীরে ধীরে সে বিলীন হয়ে যায়, আর একটা চিকন সরু রুপালি আলোর ক্ষীণ রেখা আর ম্লান ঝলক ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।



কর্কটদের ভাবাবেগের পরিবর্তনটা যেন চাঁদের পরিবর্তনের সাথে মিলে যায়, আর মনে করিয়ে দেয় গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাবে জোয়ার আর ভাটার উদ্ভবের কথা। অবশ্য, চাঁদ কখনই পরিবর্তিত হয় না। শুধু মনে হয় যেন এটা পরিবর্তিত হচ্ছে। তেমনিভাবেই কর্কটও তার বিভিন্ন উথান পতনে সেই একই ব্যক্তিই থেকে যায়। কর্কটের পরিবর্তনের এই নির্ভরশীল ধারা, অস্খিরতার মাঝেও অনড়তা - তাকে চিনে নেবার ব্যাপারটাকে সহজ করে তোলে। আপনি যদি বুঝতে পারেন সে কোন অবস্খায় আছে তাহলেই তার ভেতরটাকে দেখতে পাবেন।



আপনি হয়তো তার ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠবেন যখন সে তার সেই “পাগলা হাসি” হেসে উঠবে। তার হাসি অদম্যভাবে সংক্রামক। উচ্চ থেকে নিম্ন স্বর এবং আবার নাকী সুরে উচ্চ স্বরে হাস্য। তারপর মৃদু  হতে হতে গরগর করে উঠবে এবং অবশেষে এমন একটা শব্দ করে এর শেষ হবে যেন মনে হবে দুশো মুরগি একসাথে দুশো আস্ত ডিম পেরে ফেলেছে। কর্কট যখন পার্টির কেন্দ্র হবার ভাবাবেগে থাকে তখন তাকে চিনে নেয়া আপনার জন্য আরও সহজ। পার্টিতে সেই হবে সবচে মজার। প্রতি মিনিটে একবার করে হাসি। সে যদি নিজেকে তখনও উপস্খাপিত করে না থাকে তবে অন্যদের বিভিন্ন আচার আচরণ নিয়ে সে নিশ্চয়ই হাসা হাসি করবে। অন্য কেউই কর্কটের মতো এতোটা কৌতুকপ্রিয় নয়। আর তার শান্ত, সুবোধ বহিরাবরণ ভেদ করে মজার মানুষটা যদি একবার দু:সাহসিকভাবে জেগে ওঠে তাহলে তো কথাই নেই। চন্দ্রীয় রসিকতাবোধ সবসময়ই গভীর। এটা কখনই সস্তা কিংবা অতিরঞ্জিত নয়, কেননা মানুষের আচরণের সূক্ষ্মতম পর্যবেক্ষণ করে তবেই এই রসিকতা তারা করে। কর্কট যে সবসময়ই তার সেই পাগলা হাসি হেসে উঠবে এমন নয়, তবে মুহূর্তের কার্যকারণেও তার এই হাসির উদ্ভব হতে পারে। বিস্তারিত...


1 comment: