Wednesday, June 6, 2012

সিংহ (২৩ জুলাই - ২৩ আগষ্ট) : সাধারন বৈশিষ্ট্য

কীভাবে চিনবেন

সম্প্রতি কেউ কি আপনাকে এ কথা বলেছে যে, “আমার জন্যে কিছু করতে হবে না,” কিন্তু একই সাথে খুব জমকালো একটা হাসি দিয়ে আপনার চোখদুটোকেও ধাঁধিয়ে দিয়েছে? সেক্ষেত্রে আপনি বড় বিড়ালটার খপ্পরে পড়েছেন। দু:শ্চিন্তার কিছু নেই, আপনি ঠিকই এ অবস্খার থেকে উতরে উঠবেন। ছোপ ছোপ দাগগুলোই বা কিসের? সিংহদের ক্ষেত্রে উদ্যত অহংকার এবং একই সাথে তার ঝলমলে কৌতুকপরায়নতা প্রদর্শনটা মোটেও অস্বাভাবিক কিছু নয়, আর এ কারনেই তার সাত খুনও মাফ হয়ে যায়।

সিংহ, নামক পশুটি বনের অন্যান্য পশুগুলিকে শাসন করে, সিংহ ব্যক্তিটি আপনাকে এবং অন্যান্য সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করে। (হ্যা, হ্যা, আমি জানি আসলে সে করে না। কিন্তু তাকে এ কথা বলতে জাবেন না। এ কথা শুনলে তার বিশাল, উষ আর আত্মগরিমায় আপ্লুত হৃদয়টি ভেঙ্গে যাবে।) বরং তাকে কৌতুকপূর্ণ আনন্দ দেয়াটাই সবচে উত্তম। তাহলে, গর্জন করে আপনাকে ভয়ে আধমরা করে না ফেলে বরং সে আহ্লাদে ঘর ঘর আওয়াজ করবে। সিংহ ব্যক্তি কখনও হয়ে ওঠে অত্যন্ত কর্মউদ্দীপনাময় ব্যক্তিত্ব আবার কখনও আভিযাত্যময় হাম তুলতে তুলতে হয়ে ওঠে সুন্দর ধরনের অলস। আপনি যদি এই প্রাণিটাকে বুঝতে শুনতে চান তাহলে শহরের সবচে উজ্জ্বল আর ঝলমলে জায়গাগুলোতে ঢু মেরে দেখতে পারেন। যারা এইসব জায়গাগুলোতে নিজেদের স্টাইল বজায় রেখে চলে তাদের মধ্যে অন্ততপক্ষে অর্ধেকই হবে সিংহ জাতক বা জাতিকা। অধিকতর লাজুক সিংহ কিংবা সিংহীরা বরং ঘরেই তাদের আনন্দ উল্লাস করবে। সিংহরা অন্ধকার আর একঘেয়েমীকে সমানভাবে ঘৃণা করে।

কাউকে যদি দেখেন যে সহজেই তার গালদুটো লাল হয়ে উঠছে, তাহলে আগে নিশ্চিত হন যে, আসলে সেটা কি বিনয়, বা লজ্জার কারনে নাকি অহংকার আর আত্মগরিমার কারনে। গাল লাল হয়ে উঠবার অনেক কারনই তো থাকতে পারে। তার মুখটা গোলাপী হয়ে উঠতে পারে কেননা সে হয়তো খুব নাচছে। কিংবা তার গালদুটো হয়তো বিষণ একটা গোলাপ আভায় ছেয়ে যেতে পারে কেননা তার জীবন থেকে ভালোবাসার মানুষটি চলে গেছে। কিন্তু যেটাই ঘটুক তার উঁচু রঙটা কখনই আত্মকেন্দ্রিকতা কিংবা আত্মগোপন করবার মতো লজ্জাবোধ থেকে উদ্ভূত নয়। কোন সিংহই আত্মকেন্দ্রিক নয়। এটা মনে রাখা জরুরী। আপনি হয়তো সেই অল্প কিছু সিংহকে খুঁজে পাবেন যারা তাদের শাসনকারী সূর্য্যটাকে কিছুটা দমিয়ে রাখে আর দৃঢ় ব্যক্তিত্ব, মর্যাদা আর অটল সিদ্ধান্ত নিয়ে জীবন যাপন করে। যাইহোক, সেই নম্র ঘর ঘর শব্দটা যেন আপনাকে বোকা না বানায়। এমনকি ভদ্র সিংহরা তাদের বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার পরিজনদেরকে শাসন করবার একধরনের রাজকীয় অধীকারের কাছে মনে মনে যেন বিকিয়ে গেছে, আর পর্দার পেছন থেকে উঁকি দিয়ে দেখতে দেখতে শুধু সুযোগের অপেক্ষায় আছে যে কখন স্টেজে তার পদার্পণ হবে। আমার কথা যদি আপনার বিশ্বাস না হয়, তাহলে একজন শান্ত সিংহ জাতক, যে আত্মকেন্দ্রিক একটা ভাব ধরে থাকে, তার অহংকারে আঘাত করে দেখুন। তার কাছ থেকে এমন কিছু একটা নিয়ে নিন, যেটা সে মনে করে যে তারই অধিকারে থাকা উচিত, তাকে আদেশ করুন এবং কোন শ্রদ্ধাই প্রদর্শন না করুন। ঐ দৃশ্যত শান্ত সুবোধ বেড়ালটাকে যে গর্জনটা করতে শুনবেন সেটা এখান থেকে চিড়িয়াখানা পর্যন্ত কাপিয়ে ছাড়বে। বিস্তারিত...

No comments:

Post a Comment