Tuesday, June 5, 2012

বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর - ২২ নভেম্বর) : সাধারন বৈশিষ্ট্য

কীভাবে চিনবেন
কোন এনসাইক্লোপেডিয়াতে চোখ রাখলে দেখবেন স্করপিও (বৃশ্চিক)-এর বর্ণনায় রয়েছে যে এটা একটা রাতজাগা প্রাণী (এরাকনিড) যেটা তার দীর্ঘ আর আঁকা-বাকা লেজটি দিয়ে তার শিকারের উপর বিষ নি:সরণ করে। এতে শিকারটির দেহ অবশ হয়ে যায়। এর আঘাত অনেক সময় প্রাণনাশী হয়ে উঠতে পারে।



মানুষ যখন শোনে যে কেউ নভেম্বরে জন্ম নিয়েছে তখন পিছিয়ে যায় এই বলে যে, “ওহ! তুমি বৃশ্চিক!” হয় পরিষ্কার ভয়ে, নয় বিস্ময় এবং শ্রদ্ধায় তারা এই প্রতিক্রিয়া দেখায়। বৃশ্চিকসুলভ আবেদনের প্রতিফলনস্বরূপ অনকসময় তাদের মুখে হয়তো ভীত হাসিও ফুটে উঠতে পারে। বৃশ্চিকরা তাদের রাশির প্রতি এই বিনয়ী প্রতিক্রিয়াগুলো উপভোগ করে, আর কেই বা তাদের দোষ দিতে পারে? কিন্তু তারা বেপরোয়া এবং বিপজ্জনক, কি ঠিক?



ঠিক নয়। এটা নির্ভর করে। প্রথমত, আপনার বরং জানা উচিত এই রাশির জাতকদের কীভাবে চিনতে হয়। হয়তো নিজেদের আত্মরক্ষার খাতিরে, কিংবা আমরা মহাপুরুষদের খোঁজে থাকি বলেই বুঝি তারা নিজেদের উপর তেমনই কোন মুখোশ জড়িয়ে নেয়। আর তাদের সুনিয়ন্ত্রিত চরিত্রের কারণে নিজেদের আরোপিত ব্যক্তিত্বে প্রতিফলন ঘটাতেও সফল হয়। তবে দুপুরে কিংবা মাঝরাতে তাদের এই মুখোশ উৎপাটনের কিছু শর্ট-কাট রয়েছে।



তার চোখে চোখ রাখুন। তাদের চোখ সবুজ, নীল, ধূসর, কিংবা কালো। কিংবা চোখগুলোতে তীব্র মোহাবিষ্টতার ছটা অনুভূত হবে। বৃশ্চিকের স্খির নিবদ্ধ দৃষ্টির মুখোমুখি হতে অধিকাংশ মানুষই ভীত এবং অস্বস্তি বোধ করে। তার এই সাবলীল চাহনীর মোহ কাটিয়ে উঠে প্রথমেই নিজের চোখ ফিরিয়ে নিন। সে প্রতিবারই দৃষ্টি নিবদ্ধ করার দিক থেকে আপনার উপর জয়লাভ করবে। আর এটাই প্লুটোসুলভ ব্যক্তিত্বের চাক্ষুস প্রমাণ। বৃশ্চিক চোখ আপনার গভীর থেকে গভীরে দৃষ্টি দেবে, নির্দয়ভাবে। আর তার যদি ইচ্ছা থাকে আপনার মনের গভীরটা পড়ে দেখবার, তাহলে তারা তাতে সফল হবে।



এরপর তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। তাদের স্বর ভেলভেটের মতো মসৃণ, কিছুটা ভাঙ্গা, তীব্রভাবে কষ্টদায়ক। তাদের বক্তব্য হবে মাপা, কিংবা কাট-ছাট করা এবং ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাক্য দিয়ে গঠিত। কিন্তু তার বক্তব্য কখনই নিজেকে গোপন করার বা গূঢ় বিষয়টিকে রাখ-ঢাক করবে না। বৃশ্চিকের মধ্যে রয়েছে পরিপূর্ণ আত্মগরিমা। সে জানে সে কেমন। এবং সে জানে সে কেমন নয়। আর হাজার মানুষ কে কী বললো তাতে নিজের মত থেকে একচুল বিচ্যুত হওয়া তার কর্ম নয়। অপমান তাকে স্পর্শ করার সুযোগ পায় না, আর প্রশংসা তাকে এক চুলও বিচলিত বা উৎফুল্ল করতে পারে না। কারো প্রশংসা বা সমালোচনা কোনটাই তার প্রয়োজন নেই। তাকে প্রশংসা করার ভালো দিক হলো, সে আপনার প্রশংসার সাথে একমত হবে। আর মন্দ দিক হলো, সে আপনার উদ্দেশ্য ঠিকই বুঝে ফেলবে।



এরপর যখন আপনি দলগতভাবে আলোচনায় বসবেন, তখন রাশিচক্রের কথা পেড়ে বলতে করতে পারেন যে চর্চা করলে বিভিন্ন রাশির জাতক চিনতে পারাটা কঠিন কিছু নয়। সে কথা শুনে যদি কেউ আপনাকে তার মোহাবিষ্ট চাহনি দিয়ে আঁকড়ে ধরে বলে, “তুমি কিছুতেই বলতে পারবে না আমি কোন রাশি” তখন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলুন, “তুমি একটা বৃশ্চিক।”
তখনই হয়তো প্রথমবারের মতো তার চোখ পিটপিট করবে। কিন্তুক্ষণিক পরেই সে আবার তার সেই শান্ত ছদ্মবেশটা জড়িয়ে নেবে যেমনটি আপনি তার মুখোশ উৎপাটনের আগে সে জড়িয়ে ছিল। যদি আপনি কখনও এমন একজন বৃশ্চিকের দেখা পান যার চোখের দৃষ্টি এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু নিবদ্ধ হয় না, তবে তাকে বলুন যে সে একটা দোদো পাখির মতোই দুর্লভ উদাহরণ। নভেম্বরে জন্মানো কিছু মানুষের জন্মকুষ্ঠিতে হয়তো মানসিক অস্খিরতা সৃষ্টিকারী তীব্র প্রভাব থাকতে পারে। কিন্তু আমরা এখন বৃশ্চিকের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সাধারণ জাতকদের আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ থাকবো এবং তাদেরকেই চেনার চেষ্টা করবো। আত্মবিশ্বাসহীন কিংবা ভীত বৃশ্চিকের সংখ্যা খুবই কম। অন্যান্য প্রভাব থাকার কারণে স্বভাবে তাদের পরিবর্তন হতে পারে, কিন্তু তেমন জাতকেরা সংখ্যায় বেশি নয়।



অধিকাংশ প্লুটো-শাসিত মানুষই শারীরিক দিক থেকে শক্ত-সমর্থ। তাদের শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলো লক্ষণীয়ভাবে দৃঢ়, তীক্ষî এবং পরিষ্কার। তাদের নাক হবে খাড়া, কখনও কখনও টিয়ার ঠোঁটের মতো। সাধারণত তাদের গায়ের রঙ হয় মলিন, যেন প্রায় স্বচ্ছ, এবং তাদের ভ্রু মোটা। তা নাকের উপরে এসে মিলিত হয়। বৃশ্চিকের উপস্খিতিতে আপনি মৃদু কোলাহল আর তীব্র গতিময় প্রাণশক্তির আভাস পাবেন, আর সেটাই আপনার কাছে তার পরিচয় তুলে ধরবে। সে যতই শান্ত থাকতে চাক না কেন তার এই তীব্র প্রাণ উদ্দীপনাকে লুকিয়ে রাখতে পারবে না। পুরুষদের হাতে পায়ে প্রচুর পশম থাকতে পারে। তাদের পশম প্রায়শই একটু লালচে রঙের হয়। অধিকাংশ বৃশ্চিকের চুলই কালো এবং চোখও কালো, কিন্তু তাই বলে শীতল প্রকৃতির সোনালীচুলের মানুষগুলোকে বাদ দেবেন না, উদাহরণস্বরূপ বলা যায় বৃশ্চিক গ্রেইস কেলি এবং বিলি গ্রাহামের কথা। বাইরে থেকে দেখতেই শুধু শীতল। নিজের ভেতরের টগবগে আচরণকে লুকোতেই তাদের এই শান্ত-স্খির বহিরাবরণ।



ব্যক্তিত্বের উপর এমন নিয়ন্ত্রণ দেখে আপনাকে ঈর্ষাকাতরতায় ভুগতেই হবে। যতো তীব্রভাবেই তাদের আবেগে নাড়া লাগুক না কেন, বৃশ্চিকদের শীতল এবং ভাবলেশহীন মুখে সে ছাপ আপনি কমই দেখতে পাবেন। এই মানুষগুলো স্বেচ্ছায় এবং গৌরবের সাথেই নিজেদের মুখে ভাবলেশহীনতা ফুটিয়ে তোলে। তারা তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোকে নিয়ন্ত্রণে থাকতে বলে। মজার ব্যাপার হলো সেগুলো তাদের মনোভাবের প্রতি বাধ্য। (স্বভাবসুলভ বৈশিষ্ট্য বৃশ্চিকের মনোভাবের কাছে বশ্য) তেমন বৃশ্চিক আপনি খুঁজে পাবেন না, যারা লজ্জায় রাঙা হয়ে ওঠে কিংবা রাগে ক্ষীপ্র হয়ে ওঠে, কিংবা ভ্রু-কুঞ্চিত করে, বা আদুরে ভঙ্গিতে হেসে ওঠে। তাদের হাসি খুব দুর্লভ, তবে সেটা নিখাদ। তাদের শরীরও তাদের অভিব্যক্তির সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখে। হঠাৎ করে লাফিয়ে ওঠা, হঠাৎ যাত্রা শুরু করা কিংবা ভীত আচরণ করা এসব তাদের মধ্যে দুর্লভ।



বিব্রতকর পরিস্খিতিতে যেমনি সে কুণ্ঠিত হয়ে উঠবে না তেমনি অহংকার করার মতো পরিস্খিতিতে ফুলেও উঠবে না। নিজের প্রতিক্রিয়াকে সে চরমভাবে দমিয়ে রাখে, কেননা বৃশ্চিক অন্যদের স্বভাব এবং উদ্দেশ্যকেই বিরামহীনভাবে খুঁজতে থাকে, এবং একই সাথে নিজেকে অন্যের সম্ভাব্য অনুসন্ধানী চোখের দৃষ্টি থেকে মুক্ত রাখে। এ ব্যপারে সে অত্যন্ত দক্ষ।
এটা মনে রাখা জরুরি যে, কিছু বিশেষ বৃশ্চিক রয়েছে যারা দ্রুত কথা বলে এবং চলাচল করে, এবং আপাতভাবে মনে হয় যেন তারা বেশ খোলা মনের এবং বন্ধুসুলভ। তার চোখে গভীরভাবে তাকান, এবং তার কিছু কাজের এবং তার প্রকৃত আচরণের ব্যপারে ভেবে দেখুন। এই হাসিমুখর আলাপ-আলোচনার পেছনে আসলে তার একটা বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। ভেতরে ভেতরে প্লুটো­শাসিত অধিকাংশ জাতকের মতোই নিয়ন্ত্রিত, ধীর-স্খির এবং দৃঢ়। হতে পারে যে সে অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই বিপজ্জনক কেননা তার মুখোশটা আরও ভালো। এই মুখোশ আপনাকে সহজেই বোকা বানাতে সক্ষম। তার সাথে এমন আচরণ করুন যেন সে ভোলাভালা একটা মজার মানুষ, একদম নিরীহ। নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন। সব বৃশ্চিক থেকেই নিজেকে সতর্ক রাখুন। আমি বলছি না যে তারা দুষ্ট চরিত্রের। তারা আসলে নম্রও নয় আর সরলও নয়। কিছু বৃশ্চিক আছে যারা জানে যে নিজেদের চোখ তাদের ভেতরের তীব্রতাকে প্রকাশ করে দেয়, আর তাই তারা সানগ্লাস পরে থাকে, এমনকি রাতেও পরে। কোন একজন বৃশ্চিককে বলুন যে তার এমন একটা গুণ রয়েছে যেটা কোন একদিন খুব সমাদর পাবে। তার খাপছাড়া কিন্তু মসৃণ উত্তরটি হবে, “হ্যাঁ, আমি জানি।” তাকে সরাসরি প্রশ্ন করুন যে সে আপনার একটা উপকার করবে কি না, এবং তার উত্তরটাও হবে সমানভাবেই কাটছাট, “হ্যা, অবশ্যই করবো,” কিংবা “না, এটা আমি করতে পারবো না।”



আপনি যদি সংবেদনশীল মনের অধিকারী হন তাহলে তার মতামত কিংবা পরামর্শ চাইতে যাবেন না। তার কাছ থেকে নগ্ন এবং নিষ্ঠুর সত্যটাই আপনাকে শুনতে হবে। আপনি তাকে প্রশ্ন করবেন, সেও আপনাকে উত্তর দেবে। নিজের সমর্থন আদায়ের জন্যে কিংবা অন্যদের মন জয় করার জন্যে বৃশ্চিক কোন মিথ্যা প্রশংসা করবে না। তার মধ্যে তোষামোদ নেই। সে যখন আপনার ব্যপারে ভালো কিছু বলবে, সেটা যত্ন করে তুলে রাখুন। আপনি মেনে নিতে পারেন যে সেটা আন্তরিক এবং রঙচঙহীন। সে যদি বলে যে আপনার কণ্ঠটা সুন্দর, তাহলে বাথরুমে গান গাওয়া ছেড়ে হাতে সত্যিকার একটা মাইক্রোফোন তুলে নিন। আর সে যদি বলে যে আপনার কণ্ঠটা চমৎকার, তাহলে আপনি ক্লোজ-আপ ওয়ানের জন্যে নিরাপদেই লেগে যেতে পারেন। সে হয়তো আপনার পথের অনেক বড় বাধা অতিক্রমেও আপনাকে সাহায্য করবে। বৃশ্চিকের স্বার্থপরতার বদনামে একদমই কান দেবেন না। বরং যেসব মানুষ বৃশ্চিকের বিচক্ষণ পরামর্শ এবং তার মহানুভবতার পরিচয় পেয়েছে সেসব কৃতজ্ঞ মানুষগুলোর কথা শুনুন। বৃশ্চিক সাধারণত সেইসব মানুষগুলোকেই আকৃষ্ট করে যারা তীব্রভাবে বিশ্বস্ত এবং আন্তরিক প্রশংসাকারী। কিংবা যারা হিংসাত্মক এবং নিচু মনের শত্রু। কিন্তু তার শত্রুরাও তাকে মনে মনে শ্রদ্ধা করে। এবং আপনি হয়তো লক্ষ্য করবেন যে তারা তাকে প্রকাশ্যে আক্রমণ না করার ব্যাপারে হুশিয়ার। যারা তাকে খোলামেলাভাবে আক্রমণ করেছে তাদের অভিজ্ঞতা এখনও জ্বলজ্বলে হয়ে আছে। এবং তাদের প্রায়ই একথা মনে হয় যে বৃশ্চিককে এবং তার শাসক-গ্রহ প্লুটোকে সরাসরি আক্রমণ করা উচিত নয়। মনে রাখবেন প্লুটো আণবিক শক্তি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু তারপরও বৃশ্চিকদের মিষ্টতা সবাইকে ছুঁয়ে যায়। দু:স্খ এবং অসুস্খদের জন্যে এদের যথেষ্ট সহানুভূতি রয়েছে। বৃশ্চিকের স্পর্শ হতে পারে শীতল, কোমল আবার গরমও। তার রাশির অবস্খান তাকে কয়েকটি পথের থেকে যেকোন একটি বেছে নেবার সুযোগ দেয়। সে হয়তো রাত্রিচারী স্করপিওনের মতোই অন্যদেরকে আঘাত করবে, এবং হয়তো সেই আঘাতের চরম তৃপ্তিটুকু উপভোগ করতে গিয়ে নিজের মৃত্যুই ডেকে আনে। কিংবা তার রাশির প্রতীক ঈগলের মতোই সেও সমস্ত পার্থিব সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে উঠে যাবে এবং নিজের শক্তি ও সামর্থ্যকে বিচক্ষণতার সাথে এবং ন্যায়পরায়ণভাবে ব্যবহার করবে। জেনারেল ম্যাক আর্থার, প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট, বিজ্ঞানী ম্যাডাম কুরী এবং জোনাস সাল্ক - এরা হলো ঈগলের উদাহরণ। অন্যান্য রাশির তুলনায় আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের মধ্যে এই রাশির জাতকের সংখ্যাই সবচে বেশি।



আর সেসব রাত্রিচারী স্করপিওনদের ক্ষেত্রে আপনি নিজেই হয়তো তাদের কারো কাছ থেকে আঘাত পেয়েছেন। প্রাচীন জ্যোতিষশাস্ত্র তাদেরকে সাপ বলে অভিহিত করেছে। আর আপনি এই দুই ধরনের কোনটির সাথে মিশছেন সেটা বুঝতে পারা কঠিন কিছু নয়। কেননা এই দুই ধরনের মাঝামাঝি বৃশ্চিকের সংখ্যা খুব কম এবং তারা তাদের নিজেদের বিষের শিকার নিজেরাই হয়। এরা হলো ধূসর টিকটিকি। তাদের কাছে আত্মত্যাগ এক ভয়ের ব্যাপার। তাদের আত্মীক ক্ষমতা বরং ভয়ার্ত শঙ্কার কারণ হয়ে ওঠে যেন কোন এক দুষ্ট আত্মা তাদের আক্রমণ করবে। আর তাদের তীব্র সাহস বরং নিজের চারপাশেই পেঁচিয়ে উঠতে থাকে। বিষধর স্করপিওনের মতো প্রতিশোধ না নিয়ে কিংবা ঈগলদের মতো কষ্টের ঊর্ধ্বে না উঠে বরং শত্রুদের প্রতি তীব্র ঘৃণা নিয়ে প্রতিশোধের আকাáক্ষা থেকে নিজেকে পিছিয়ে নেয়। প্রতিটি সূক্ষ্ম আঘাতেও তারা অপেক্ষায় থাকে যে অদৃষ্ট তাদের শত্রুর উপর প্রতিশোধ নেবে। নিজের প্রায় অজ্ঞাতেই তাদের ধ্বংস চায় যদিও নিজে তৎপর হয়ে কিছু করে না।



এই ধূসর টিকটিকিগুলো প্লুটোর শক্তিকে নিজেদের মধ্যে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়। অথচ এই শক্তি হয়তো অনেক দুর্ভাগ্যজনক পরিস্খিতিতে তাদের রক্ষা করতে পারতো। জীবনের বিয়োগাত্মক চরম পরিস্খিতিতে তাদের পিঠ যখন দেয়ালে তখন তাদের এই অন্তর্নিহিত শক্তি হয়তো একটি নতুন সূর্যোদয়ে নতুন জীবনের প্রেরণা যোগাতে সক্ষম হতো। কিন্তু তারা বরং নিকষ ছায়াকেই নিজেদের ভূষণ করে নেয় এবং নিজেকে আড়াল করে রাখে। নিজেদের জন্মগত প্রাণশক্তির চরম অপচয় সাধন করে। তবুও, প্লুটোর সমস্ত শক্তি থেকে পরিপূর্ণভাবে বঞ্চিত হওয়া বুঝি বৃশ্চিকের অদৃষ্ট নয়। এই ধূসর টিকটিকিগুলোর ঈগলে পরিণত হবার সুযোগ কখনই শেষ হয় না। এই রাশিতে জন্ম নেয়া প্রতিটি জাতকই এই ধরনের চমৎকার যাদুময় সুযোগগুলির সৌভাগ্যমণ্ডিত। শুধু প্রয়োজন নিজেদের মধ্যে সে আগ্রহ গড়ে তোলা। বৃশ্চিকের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সাধারণ জাতকের মধ্যে কোন ভয় থাকে না। যুদ্ধের ময়দানে কোন ভয়-ভীতি ছাড়াই তারা শেষ অবধি সাহসের সাথে যুদ্ধ করবে। এমনকি সাধারণ বৃশ্চিক জাতক, জাতিকারাও যেকোন সমস্যায়, যেমন শারীরিক কষ্ট, দারিদ্র্য, অন্যের তাচ্ছিল্যের শিকার হওয়া, এবং ব্যর্থতাতেও গর্বিত বিতৃষäা নিয়ে এবং নিজেদের অন্তর্নিহিত ক্ষমতার উপর আত্মবিশ্বাস রেখে লড়তে পারে।
বৃশ্চিকেরা তাদের বন্ধুদের প্রতি অত্যন্ত বিশ্বস্ত। “শ্রেষ্ঠতর ভালোবাসায় কোন মানুষই এই মানুষগুলোকে ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম নয়, এই সেই মানুষ যে বন্ধুদের জন্যে নিজের জীবনও বিসর্জন দিতে জানে।” এদের কেউ কেউ তাদের বন্ধু-বান্ধব, প্রিয়জন এবং আত্মীয়-স্বজনদের জন্যে কোন যুদ্ধে কিংবা নাগরিক জীবনের জরুরি পরিস্খিতিতে সততই নিজেদের জীবন বাজী রাখতে পারে। বৃশ্চিক সেনারা তার সঙ্গী যোদ্ধাটিকে বাঁচাতে নিজেকে বুলেটের সমুখে ছুড়ে দিতে পারে। যে বৃশ্চিকটি ফায়ার সার্ভিসে কাজ করে সে একটি জ্বলন্ত বিল্ডিং থেকে একটি শিশুকে বাঁচাবার জন্যে নিজের প্রাণও বাজী রাখতে প্রস্তুত। কখনও কখনও মনে হয় যেন নিজেদের শক্তি পরীক্ষার জন্যেই যেন এই প্লুটো-শাসিত মানুষগুলি সহিংসতা সৃষ্টির প্রতি আকৃষ্ট হয়। বৃশ্চিক কখনই মহানুভবতার উপহার ভোলে না। বিনিময়ে তারা তাদের সর্বোচ্চ করতেও প্রস্তুত। আবার উল্টোভাবে, কোন একটি আঘাত বা অপমানের কথাও তারা ভোলে না। এক্ষেত্রে তাদের প্রতিক্রিয়া হতে পারে বিভিন্ন ধরনের। ইগলেরা তাদের শত্রুকে এমনভাবে পরাভূত করবে যেন সে তাকে আর কখনই আক্রমন করার স্পর্ধা না করে। যুদ্ধে জয়ী হবে এবং পরাজিত শত্রুকে চলে যেতে দেবে। আর মারাত্মক বিষধর রাত্রিচারী স্করপিওন প্রথমে ছোবল হানবে, তারপর শত্রুকে ধ্বংসের জন্যে উন্মুখ হবে এবং তারপর আবার ছোবল হানবে। আঘাতের ক্ষেত্রে সমান হয়ে উঠলেও তার তৃপ্তি নেই। শত্রুকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে হবে, কিংবা নূন্যতম শত্রুর থেকে তার আঘাতের পরিমাণ বেশি হতে হবে। সাধারণ বৃশ্চিকেরা সারারাত ঘুমহীন চিন্তা করবে কিভাবে শত্রুর সমান হয়ে ওঠা যায়। কোন প্রতিবেশি যদি তার গাড়ির একটা কাচ ভাঙে, তো সে ঐ প্রতিবেশীর গাড়ির দুটো কাচ পরের দিন ভেঙ্গে দেবে এবং  হয়তো সেই প্রতিবেশীর বাউন্ডারি বা কাটা তারের বেড়াটাও ভেঙ্গে দেবে। এই জাতকেরা আঘাতের দিক থেকে শুধু শত্রুর সমকক্ষ হয়েই শান্তি পায় এমন নয় বরং তারা তাদের পেছনে আঠার মতো লেগে থাকে। কিন্তু ধূসর টিকটিকি যারা, তাদের মধ্যে প্রতিহিংসার আগুন বছরের পর বছর ধরে জ্বলতে থাকে। এবং এই আগুন তাদের নিজেদের মধ্যেই তীব্র বিষণíতা এবং হয়তো শারীরিক অসুস্খ্যতারও জন্ম দেয়। প্রতিশোধ নিতে না পারার এই তীব্র অনুকম্পা যদি বৃশ্চিকদের অন্তরেই গুমরে থাকে তাহলে এটা দিন দিন আরও বিষময় হয়ে ওঠে। নিশ্চয়ই এটাও শত্রুদের জন্যে অত্যন্ত মারাত্মক। কিন্তু সেটা যদি হয়ে ওঠে বহির্মুখী তবে এটা হয়তো তাদের মধ্যে অপরাধবোধের জন্ম দেবে, কেননা দুর্বলের উপর আঘাত হানতে তাদের বিবেকে বাধে। তাই তাদের এই রাগ বা প্রতিশোধপরায়ণতা চরিতার্থ করতে হলে সেটাকে অন্তর্মুখী হলেও চলবে না কিংবা বহির্মুখী হলেও চলবে না। এই বোধটিকে তাদের জয় করে নিতে হবে ইগলদের মতো। উপরে তাকিয়ে সব ভুলে যেতে হবে - প্রতিশোধের তাড়নায় কিংবা রাগে উন্মত্ত হয়ে পেছন ফিরে তাকানো চলবে না।



বৃশ্চিকদের স্বাস্খ্য তাদের স্বভাবের প্রতিফলন ঘটায়। নিজের স্বাস্খ্য সে কঠোর পরিশ্রম করে কিংবা বিষণíতায় ভুগে নষ্ট করে ফেলতে পারে। কিন্তু জটিল কোন রোগ থেকেও শুধু ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সে সেরে উঠতে সক্ষম।
প্লুটোর ক্ষমতা এতই তীব্র! বৃশ্চিকেরা তেমন একটা অসুস্খ্য হয় না, কিন্তু যখন তারা অসুস্খ্য হয় বেশ মারাত্মক ভাবেই হয়। তাদের অসুস্খ্যতায় আরোগ্যলাভের সবচে ভালো উপায় হলো যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম নেয়া, এবং অনুকম্পার তীব্র আগুন নিভিয়ে নিজের মন প্রশান্ত করে তোলা। তারা নিজেরাই নিজেদেরকে সুস্খ্য হতে সাহায্য করে না, অবশ্য, নার্স কিংবা ডাক্তারদের থেকে তারাই বেশি জানে। দুর্ঘটনা এবং জীবাণুর প্রতি তাদের শরীরের যে যে অঙ্গ প্রধাণত দুর্বল সেগুলো হলো, জননাঙ্গ, নাক, গলা, হৃদপিণ্ড, মেরুদণ্ড, পিঠ, রক্তনালী, পা এবং গোড়ালি। খেলাধুলায় দুর্ঘটনা এবং শিরা ফুলে ওঠায় আক্রান্ত হওয়ার প্রতি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। আগুন, বিস্ফোরোক দ্রব্য, বিষাক্ত গ্যাস এবং বিকিরণ থেকে তাদের দূরে থাকা উচিত। তারপরও তাদের অনেককেই দেখবেন এই ধরনের বিপদজনক পরিস্খিতির উদ্রেক হতে পারে এমন সব পেশাতেই নিয়োজিত রয়েছে। কখনও কখনও তাদের মধ্যে দীর্ঘস্খায়ীভাবে নাক দিয়ে রক্তপাত হতে দেখা যায় কিংবা নাকে কোন না কোন কারণবশত সার্জারি করতে দেখা যায়। বৃশ্চিকেরা ধর্মের প্রতি অত্যন্ত অনুরক্ত। তারা জীবন ও মৃত্যুর প্রতিটি অধ্যায়ের প্রতিই কৌতুহলী। তারা যৌনতাকে আবেগময়ভাবে গ্রহণ করে এবং সংশোধনের আকাঙ্খার প্রতি সহিংসভাবে উন্মুখ। কিন্তু সে নায়োকোচিতও বটে, পারিবারিক বন্ধন, ভালোবাসার প্রতি তারা আত্মত্যাগী, এবং বাচ্চা ও দুর্বলচিত্তদের প্রতি সহানুভূতিশীল। সে হয় হবে নবীদের মতো কিংবা হবে পাপি। হয় সে নরকের এপাশের অন্ধকারাচ্ছন্ন রহস্যগুলোও অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হবে কিংবা পাপ এবং ক্ষয়ের পথকে মনে প্রাণে ঘৃণা করবে। মঞ্চে, কিংবা ব্যাবসায়িক মিটিংয়ে কিংবা টিভি পর্দায় যেখানেই সে কোন আবেগের উপস্খাপন করবে সেখানেই তার মোহাবিষ্ট করার ক্ষমতা প্রতিটি দর্শকের প্রাণে স্পন্দন জাগিয়ে যাবে, তাদের মোহমুগ্ধ করে তুলবে। বস্তুত এটা বরং ভয়ঙ্কর। যদিও বা বৃশ্চিক নিজেকে সাময়িকভাবে দু:খ, মদ্যপানে আসক্ত এবং বিষণíতায় জড়িয়ে রেখে নিজেকে বাউয়ারি (নিউইয়র্ক, ম্যানহাট্টানের একটি কুখ্যাত জায়গা)-র দিকেই টেনে আনে, তাহলেও আপনি ভেবে নিতে পারেন যে দান্তের সেই ইনফারনো উপন্যাসের দুষ্টু যাযাবরদের মতোই কুখ্যাত লোকগুলো তাকে আসতে দেখলে পথ থেকে সরে দাড়াবে।



যা কিছু সে তার নিজের বলে মনে করে সেসবের প্রতি সে অত্যন্ত অধিকারপরায়ণ। এর একটি হলো সফলতা। তবে তার উচ্চাকাঙ্খাটা কী সেটা বোঝা দুরূহ। সে যতক্ষণ সেবা দান করে ততক্ষণই মনে মনে কোন সুযোগের প্রতিক্ষায় থাকে। কেননা সে ভাবে যে পদটিতে সে বর্তমানে কাজ করছে তার থেকে উঁচু পদটিরই সে যোগ্য। সে ধিরে সুস্খ্যে কর্তৃত্ব নিজের হাতে নিয়ে নেয়, তবে তার লক্ষ্য নিশ্চিত। বৃশ্চিকেরা যা করতে চায় সেটা প্রায় নিশ্চিতভাবেই করে। যদি প্রকৃতপক্ষেই কোন কিছু সে প্রত্যাশা করে, তাহলে সেটা আর তার জন্যে স্বপ্ন নয়, বরং বাস্তব হয়ে ওঠে। প্লুটোর অন্ধাকারচ্ছন্ন, রহসম্যয় শক্তি যেকোন আকাঙ্খাকেই শীতল, সতর্ক এবং স্খির সিদ্ধান্তের বলে বাস্তবে পরিণত করে।



যদিও মানব সভ্যতার সবচে অসুস্খ্য এবং সবচে অনৈতিক দিকগুলির প্রতি একটা প্রাণনাশক আগ্রহ নেশা এবং সহিংসতার কবলে আচ্ছাদিত ধূসর টিকটিকির জন্ম দিতে সক্ষম, তবে সেও নিজের জীবনের পথ বদলে সেবা সুশ্রশার দিকে একই রকম অনুরক্তি নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে। যদিও দু:খবাদী সার্জন হিসেবে বৃশ্চিকদের দুর্নাম রয়েছে, তবে এ কথাও সত্য যে নিজেদের অদ্ভুত ডায়াগোনোসিস এবং প্রহেলীকাময় জ্ঞাণ প্রয়োগ করে মন এবং শরীরের জটিল রোগীদের আরোগ্য করার সুনাম এবং বিশ্বখ্যাত হবার গৌরব এই বৃশ্চিকদেরই।

বৃশ্চিকেরা জীবন ও মৃত্যুর গোপন রহস্যগুলোর জ্ঞাণ নিয়েই জন্মেছে। এবং যদি সে চায় তবে দুটোকেই সে জয় করতে সক্ষম। কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞাণ তাকে সবসময়ই পরামর্শ দেয় যে “সে যে জানে সেটা তার অবশ্যই জানা উচিত।” প্রাচিণ রহস্যগাথা বা কাহিনী তাকে সবসময়ই টানে। মানুষের প্রকৃতির প্রতি তার তীব্র সমব্যথা তাকে অত্যন্ত সফল ডিটেক্টিভ, অত্যন্ত উঁচু মানের সঙ্গিত শিল্পি, গভীর মানসম্পন্ন এবং দীর্ঘস্খায়ী সাহিত্য কর্মের জনক, কিংবা এমন একজন অভিনেতায় পরিণত করে যে বিকল্পধারায় তীব্রভাবে নিজেকে উপস্খাপন করবে। কখনও কখনও তাকে সমুদ্রের কাছাকাছি বসবাস করতে দেখা যায়। সমুদ্রের ঢেউয়ের মতোই শক্তিশালী এবং নিরবে সে বসবাস করে। যখন মাঝে সাঝে সে মানুষের সাথে মিলিত হয়, তখন জয় করবার তীব্র আকাঙ্খা লুকিয়ে রাখার জন্যে সে শান্তভাবে নিজের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। হতে পারে সে কোন একজন রাজনীতিবিদ, কিংবা একজন টিভি-তারকা, কিংবা একজন আন্ডারটেকার (যে মানুষকে কবর দেয়), কিংবা বারটেন্ডার। কিন্তু যে বৃত্তিতেই সে থাকুক না কেন, নিজের সব প্রতিদ্বন্দ্বিকেই সে টপকে যাবে। এবং সে এতো সহজেই এটা করবে যে মনে হবে এটা তার চেষ্টার থেকে যেন ভাগ্যেরই কারসাজি।



জ্যোতির্বিজ্ঞানের সবচে অদ্ভুত ধরনগুলোর একটি হলো বৃশ্চিকের জন্মের একবছর আগে বা পরে তার পরিবার কিংবা আত্মিয়দের মধ্যে কাউকে মারা যেতে দেখা যাওয়া। এবং বৃশ্চিক মারা যাবার একবছর আগে বা পরে একটি শিশুর নবজন্ম হতে দেখা যায়। সাধারনত ৯৫ ভাগ বৃশ্চিকের ক্ষেত্রেই এই ব্যপারটা লক্ষ্য করা যায়। প্লুটোর প্রতিক হলো যুদ্ধ-জয়ি ফোনিক্স দ্বগ্ধ ছাই থেকে আবার জেগে উঠছে, এবং বৃশ্চিক কবর থেকে আবার জেগে ওঠার অর্থ বহন করে। ধূসর টিকটিকি কিংবা বিষধর স্করপিওন (বিচ্ছু) উভয়ই নিজেদের আত্মিক ক্ষমতা (যাদুবিদ্যা বা উইচক্র্যাফট) কে কাজে লাগিয়ে এবং সে বিষয়টি গোপণ রেখে সেই গর্বিত ইগলে পরিণত হতে সক্ষম। তার সেই আধিভৌতিক আত্মিক ক্ষমতার কথা জিজ্ঞেস করেও লাভ নেই - সে কখনই জবাব দেবে না। কিন্তু শূন্যের প্রতিকের মধ্যে সেই চিরন্তন বৃত্তটার মানে সে ঠিকই জানে। নভেম্বরে জন্ম নেয়া মানুষগুলি কাটাময় ফুলের মতোই বিপদজনক এবং একই সাথে গোলাপের মতোই সুন্দর। আপনি কি গ্রীস্মের মাঝামাঝি সময়ে কোন এক রাতে গোলাপের গল্প শুকে দেখেছেন? যদি নিয়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি বুঝবেন কেন সেই কাটা পেরিয়ে বৃশ্চিকগুলো তাদের আকর্ষণীয় আচরণটিকে নিজেদের মধ্যে গ্রহণ করে। রক্ত-পাথর (ব্লাডস্টোন) -এর বিচিত্র এবং গাঢ় লাল মদ রঙের মধ্যে দিয়ে প্লুটোর আবেগের আতিশয্য ফুটে ওঠে। কিন্তু বৃশ্চিকের ধাতু ততদিন তীব্র আগুণের উপর উত্তপ্ত হবে, যতদিন না বৃশ্চিকের জ্ঞাণের নয়টি আত্মিক তাপকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো শীতলতা, বিচক্ষণতা এবং মসৃণতা ও দৃঢ়তা তাদের মধ্যে জেগে না উঠছে।

2 comments:

  1. কোইনসাইন। গুড জব।

    ReplyDelete
  2. কোইনসাইন। গুড জব।

    ReplyDelete