Saturday, June 9, 2012

বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে) : সন্তানদের বৈশিষ্ট্য

আপনার নবজাতক শিশুটিকে জামা পড়িয়ে হসপিটাল থেকে বাড়ি নেবার পথেই বুঝতে পারবেন যে সে বৃষ শিশু। “এই সুন্দর সোয়েটারটা পড়ো, এটা তোমার দাদি তোমার জন্যে বুনেছে।” আপনি হয়তো আহ্লাদ দিয়ে মাতৃসুলভ স্বরে কথাটা বলবেন। “কেন তুমি তোমার ছোট হাতটাকে মুঠি করে রেখেছ আর কেনইবা তোমার শরীরটাকে শক্ত করে রেখেছো? তুমি ভালো বাচ্চা না? ছেড়ে দাও, দাও বাবা।”
“আমাকে চেষ্টা করতে দাও” - আপনার স্বামী বলবেন। “এবার আসো সোনা, হাতগুলোকে এই হাতার মধ্যে ঢুকিয়ে দাও দেখি, খুব সহজ। এই চার্লি তুমি আমার কথা শুনছো বাবা? মুঠি খুলো, তোমার হাতদুটো মেলে ধরো। মেলে ধরো!”
ইতোমধ্যে নার্স চলে আসবে। “হতাশ হবেন না”, সে বলবে। “ছোট বাচ্চারা জামা পড়তে চায় না। আল্লাহ কি সুবোধ শিশু, একদম জেগে আছে, কিন্তু সে কথা বলছে না।”
“হ্যাঁ সে খুব চুপচাপ”, আপনার স্বামী বলবেন। “কিন্তু সে তার হাতদুটোকে বুকের উপর চেপে ধরে আছে। সহজে তার হাত মেলে ধরা যাচ্ছে না। ভালো শক্তি তার গায়ে, আমি হাতদুটোকে খুলতেও পারলাম না।”
“আমার মনে হয় সে সোয়েটারটা পড়তে চাচ্ছে না,” আপনি অস্বস্তি নিয়ে বলবেন। মায়ের অতিচেতনাটা আপনার মধ্যে জাগ্রত হতে শুরু করেছে।  নার্সটি তার পেশাগত দক্ষতা নিয়ে এগিয়ে গেল, “আমি করছি, আসো দেখি বাবু, এইতো, হ্যা! হাতার মধ্যে তোমার মুষ্ঠিটা দাও - হ্যা এইতো লক্ষি বাচ্চা।” নার্স বাচ্চাটার হাতটাকে সোয়েটারের হাতা দিয়ে জোড় পূর্বক ঢোকাবার চেষ্টা করে, আর হঠাৎ আপনার শিশুটির মুখ গভীর নীল, রক্তবর্ণ লাল রঙ ধারন করে, আর একটা তীব্র চিৎকার বেড়িয়ে আসে তার মুখ থেকে, যে শব্দে ফ্লোরের সবকজন নার্সি দৌড়ে ছুটে আসে। (এটা আসলে চিৎকার কমই ছিলো বরং হুংকারই বোধকরি প্রকৃত শব্দ) হলের ইনটার্ন ভাবছিলেন বেইজমেন্টে বুঝি বয়লারটাই ফেটে গেছে।) আপনার বৃষ শিশুটি এটাই বুঝিয়ে দিলো যে কেউ কোন ব্যাপারে তাকে জোড় করবে এটা সে পছন্দ করে না। এটা একটা সতর্কতা বানী। আর এর পূনরাবৃতিও হবে। বিস্তারিত...

No comments:

Post a Comment