Wednesday, June 6, 2012

মেষ (২১ মার্চ - ২০ এপ্রিল ) : সাধারন বৈশিষ্ট্য

কীভাবে চিনবেন

আপনি কি এমন কারো সাথে পরিচিত হয়েছেন যিনি অত্যন্ত বন্ধুবৎসল, যার স্বভাবে কাঠিন্য, হাতের ঝাকুনি অতীব দৃঢ় এবং চকিতেই হাস্যউৎফুল্ল? তুঁত গাছের ঝোপ ধরে ওলোট-পালট দৌড়ের জন্য প্রস্তুত হোন। আপনি হয়তোবা একজন মেষের সংস্পর্শে এসেছেন - আপনি যদি কথোপকথনে আধিপত্য বিস্তারে বেগ পেয়ে থাকেন তাহলে সে যে মেষ সেটা আরও স্পষ্ট হয়। সেই ব্যক্তি কি বিশেষ কোন আদর্শবাদী কার্যকারণের প্রতি নিবেদিত এবং সে কি কোন অবিশিষ্ট চিন্তা কিংবা শ্রেণীর প্রতি সমর্থনের ক্ষেত্রে একটু বেশি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে? সেটাই হয়। পুরুষ কি নারী, এই গোত্রের মানুষ সকল অবস্খানেই যা কিছু তাদের অনুভূতির প্রতি অন্যায্য তার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকেন এবং তারা তাদের মনোভাবের ব্যপারে লাজুক নন। মেষ ব্যক্তি একজন ট্রাফিক পুলিশ কিংবা একজন সশস্ত্র গ্যাংস্টারের সাথে একই জোড়ে এবং একই রুক্ষতার সঙ্গে কথা বলবেন যদি তাদের কোন একজন তাকে বিরক্ত করে থাকেন। পরবর্তীতে মেষ ব্যক্তি হয়তো তার কাজের জন্য অনুতপ্ত হবেন, কিন্তু সাবধানতাও তাকে উত্তপ্ত মুহূর্তটাতে বিরত করতে পারবে না। মঙ্গল জাতকেরা যে কোন ক্ষেত্রেই খুবই সৎ এবং সাহসীভাবে যে কোন অবস্খার মোকাবিলা করে, তাদের মধ্যে লুকোচুরি কিংবা ভূমিকা অনুপস্খিত।

রাশিচক্রের প্রথম রাশিটিই মেষ। এটা প্রতিফলন করে জন্মকে, যেমন মীন হলো মৃত্যু এবং আত্মিক সচেতনতার প্রতীক। মেষ শুধুই তার নিজের ব্যাপারে সচেতন। রাশিচক্রে মেষ এক শিশু, নবজাতক শিশু - সম্পূর্ণভাবে সে তার নিজের চিন্তাতে মগ্ন। তার কাছে তার প্রয়োজনীয়তাটাই মুখ্য। একটি নবজাতক কখনই তার পিতা-মাতা কিংবা পাড়া-প্রতিবেশীর ঘুমের চিন্তা করে না; যখন তার ক্ষুধা লাগে, কিংবা নিজের কাপড় নষ্ট করে তখন সে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করে। সে তার খাবার চায়। সে চায় কেউ তার ডাইপার বদলে দিবে, এবং এ ব্যাপারে সে ঢিলেমিটাও সহ্য করবে না। কোন মেষ জাতকের মনে নতুন কোন ভাব বা পরিকল্পনার উদয় হলে সে তাৎক্ষণিক সেটা প্রকাশ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সে হয়তো কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব বা সংকোচ ছাড়াই আপনাকে ভোর চারটায় ফোন করে বসবে। তার চিন্তায় তখন শুধু একটাই ব্যাপার - “আমিতো জেগে আছি, তাহলে আমার পরিকল্পনা শুনবার জন্যে সে কেন এখন জেগে থাকবে না?” এবং মেষের চরিত্রের এই ব্যাপারটাই তার সহায়ক। সে যেটা চায়, সে সেটা পায়। শিশুদের মতোই মেষেরাও ভাবে জগৎটা শুধু তাদের জন্যই তৈরি। যাইহোক, কে একটা ছোট শিশুকে প্রকৃতপক্ষেই স্বার্থপর বলে বিবেচনা করে বসবেন? সেওতো তার হাসি অনায়াসে এবং অক্লেশে সেই মানুষটিকে উপহার দিতে প্রস্তুত যে তার চাহিদা পুরণে ভূমিকা রাখে। একটা শিশুকে নিবৃত করা খুবই কঠিন কাজ, কেননা শিশুটি তার কোন চাহিদা বা কাজের পেছনে অন্যের যে কিছু ক্ষতি হতে পারে সে ব্যাপারে একেবারেই অজ্ঞ থাকে। মেষের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। মেষের নিষ্পাপ চিন্তা তার আগ্রাসী মনোভাবকে নরম করে তোলে, ঠিক যেমনিভাবে একটি শিশুর নিষ্কলুষতা তার স্বার্থপরতাকে মলিন করে দেয়। বিস্তারিত...

No comments:

Post a Comment