Sunday, June 10, 2012

বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে) : নারীদের বৈশিষ্ট্য

আমার মনে পড়ছে এক লেখিকার সাথে তার বাবা-মার আচার-আচরণ, স্বভাব, ব্যবহার সংক্রান্ত আলোচনার কথা। এই লেখিকার মা জন্ম নিয়েছিলেন মে মাসে। মায়ের সম্পর্কে বলতে গিয়ে লেখিকা বললেন, “আমার মা খুব লম্বা মহিলা ছিলেন।” আমি তাকে বললাম, “তাহলে আপনি নিশ্চই আপনার বাবার আকারটা পেয়েছেন।” কেননা মেয়েটার উচ্চতাটা আর দশটা মেয়েদের থেকে বেশি ছিলো না।” সে হাসলো।

আর তারপর সে যা বললো সে কথা আমি কোনদিন ভুলবো না। সে বললো, “আমি ইঞ্চির হিসাবটা বলিনি। আমার মা আমার থেকেও খাটো ছিলেন। আমি আমার মনের কথাটা বলেছি।” মেয়েটা ছিলো মীন জাতিকা, যে মীন সাধারণত আপনার অন্তরে দৃষ্টিপাত করে।

সে ঠিকই বলেছিল। একজন বৃষ নারী উঁচু একজন নারী। হোক না সে ৫ ফুটেরও কম লম্বা কিন্তু সে ততটাই উঁচু হয়ে উঠতে সক্ষম যতটা উঁচু হলে জীবন তার সমুখে যে জরুরী অবস্খার সৃষ্টিই করুক না কেন সেটার মোকাবেলা করা যায়। অনেকভাবেই একজন বৃষ নারী সৎ এবং ভালো, এবং এমন সব গুণের সমষ্টি যা পুরুষেরা প্রত্যাশা করতে থাকে কিন্তু পায় খুব কমই। তার রাগটা হয়তো এতই ভয়ানক যে একজন শক্ত পুরুষকেও দৌড়ে বনের দিকে পালাতে কিংবা অন্তত টেবিলক্লথের নিচে মাথা ঢেকে লুকাতে বাধ্য করবে, তবে আশার কথা এই যে পর্যাপ্ত পরিমাণ উল্টাপাল্টা কথাবার্তা কিংবা কাজকর্ম ছাড়া এরকম ভয়ঙ্করভাবে রাগান্বিত সে হবে না। সাধারণত আপনি যদি তাকে মানুষ্য সহ্য ক্ষমতার উর্ধ্বে তাকে অত্যাচার না করেন, কিংবা ভাগ্য যদি তার হাতে সত্যিকার অর্থেই একদম খারাপ তাসগুলোকে চালান না করে তাহলে সে তার জীবনের খেলাটা সততার সাথে, ঠান্ডা মাথায় আর প্রশংসনীয় স্তিধীর সাথেই খেলে যাবে। সাধারন মেয়েদের কান্না আর ছলাকলায় তার সারল্য, আর স্বভাবগত সততা মলিন হয় না। একজন বৃষ নারীর নৈতিক এবং আবেগী সাহসটা যেকোন শক্ত পুরুষের তুলনায় কোন অংশে কম নয়, কিন্তু নিজের লিঙ্গে তার এতই আত্মবিশ্বাস যে আপনি যদি তার বস্ হতে চান তো সে আপনাকে সেই জায়গাটায় বসতে দেবে। কিন্তু আপনি যদি জায়গাটা পূরণ না করেন তো সে নিজেই সব নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবে, যদিও সে আন্তরিকভাবে আপনাকেই ঐ জায়গাটাতে প্রত্যাশা করে। সে একজন সত্যিকার পুরুষকে চায়, কেননা সে নিজে একজন সত্যিকার নারী, আর এ জন্যে সে গৌরবান্বিত। তার কাছে, নারী হওয়া মানেই একটা ভীতু লাজুক মেয়ে, কিংবা নরম সরম তুলোর পোটলা, কিংবা এমন কেউ যে নিজের পথ নিজে বাতলে নিতে ভয় পায়। বেশিদিন লাগবে না, আপনি বুঝতে পারবেন যে তারও একটা নিজস্ব মন আছে, আর সেই মনটা যথেষ্ট দৃঢ় যে তার কোন একটা লক্ষ্যে পৌছাবার পথে কোন কুটুক্তি, মন্তব্য কিংবা বাধার কাছে নতি স্বীকার করে না।

একজন গড়পড়তা বৃষ নারীর মধ্যে ততটুকু আত্মনিয়ন্ত্রন রয়েছে যতটুকু থাকলে একদল বন্যঘোরাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় (তার ভেতরের ইচ্ছা শক্তির ব্যাখ্যা দেবার জন্য এই নিরপেক্ষ কথাটা বললাম), অবশ্য সে যদি এটা করতে আগ্রহী হয়।

মেষ, সিংহ কিংবা চন্দ্র -এর প্রভাব থাকলে তার মধ্যে কিছুটা নিষ্ঠুরতা আর আবেগের ঝড় প্রবাহীত হতে পারে, আর যদি তার জন্মকুষ্ঠিতে মীন কিংবা মিথুনের শক্ত প্রভাব থাকে তো সে বরং কিছুটা অস্খির আর দূর্বলচিত্তের হবে। কিন্তু বৃষের গুণাবলী সম্পন্ন একজন সাধারন নারী সব ক্ষেত্রেই আত্ম নিয়ন্ত্রন বজায় রাখবে। এটা একটা ভালো গুণ, কেননা তার সাধারণ শান্ত বহিরাবরণের নিচে একটা বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন চেতনা রয়েছে যা তাকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিস্তারিত...

No comments:

Post a Comment