Tuesday, June 12, 2012

কর্কট (২২ জুন - ২২ জুলাই) : বসদের বৈশিষ্ট্য

কর্কটের কৌতুকপ্রিয় মনোভাব সম্পর্কে অবহিত হবার পর আপনি নিশ্চয়ই ভেবে নিয়েছেন যে অফিসের বস্ যদি হয় কর্কট তাহলে অফিসের পরিবেশটা হবে সত্যিই মজার।কর্মচারী/কর্মকর্তগণ কর্কট বস্টির রসিকতা আর ভাঁড়ামীর ভক্তগোছের কিছুই হবে। নিশ্চয়ই এরকম একটা অফিসে কাজ করাটা অনেকটা নাইটক্লাবে কাজ করবার মতোই রোমহর্ষক হবে - আহা, এমনটা নয় - একদমই নয়।

আপনি যদি টিভির কিংবা সিনেমার কোন কৌতুক অভিনেতার সাথে কাজ করেন তাহলে এরকমটা হতেও পারে। অন্য যেকোন ক্ষেত্রে, পানীয় কিংবা খাবারের চিন্তাটা মন থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারেন, আর আপনার টাইটাকে সোজা করে নিয়ে কৌতুকরসের কথাও ভুলে গেলে ভালো করবেন। গম্ভীর প্রকৃতির, পরিশ্রমী কর্কট বস্ তার কাজের মধ্যে কোন রকম ছেবলামী পছন্দ করেন না। তার কৌতুকবোধ জেগে উঠতে পারে কোন একজন অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাসী প্রতিদ্বন্দ্বীকে ব্যর্থ হতে দেখে, কিংবা নিজের যোগ্যতা প্রদর্শন করবার আগেই মলিন হাসি নিয়ে তাকে বেতন বাড়াবার কথা বললে - কিংবা এ জাতীয় যেকোন ক্ষেত্রে। এই ধরনের ক্ষেত্রে তার ভেতরের কৌতুকরসের হাড়িটা ঠিকই নড়ে উঠবে। আর মুখের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত হাসিটাও বেড়িয়ে আসবে। অন্য কোনকিছুই হয়তো এতোটা মজা আর হাস্যের সৃষ্টি তার মধ্যে করতে পারবে না। রসিকতাবোধটা এখনও সেখানেই আছে, তার ঝকঝকে ব্যবসায়িক চেহারা, আর তুষার-শুভ্র কলারটার নিচে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেটাকে সে খুবই সাবধানতার সঙ্গেই মেলে ধরবে। তার বেশিরভাগ হাসিই সে অন্যকে নিয়ে কটাক্ষ করবার কিংবা কারো ভুল নিয়ে মজা করবার, কিংবা কোন বিচলিত চিত্তকে ঠাণ্ডা করবার ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করবে - আর সাধারণত তার কণ্ঠস্বর সেক্ষেত্রে সহানুভূতিশীল থাকবে। প্রতিদিনের সাত ঘন্টা ৫৯ মিনিটই বরং হবে কৌতুকহীন, এমনকি হাসিহীন।

আমি কর্কট বস্টিকে সাইমন লেগ্রের সাথে তুলনা করে ভীত করে তুলতে চাইছি না (যদিও তার মতোন অনেক কর্কট বস্ই পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে।)। আমি শুধু বলছি যে আপনার চাকরি যদি পাকাপোক্ত করতে চান তাহলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন প্যান্ট-শার্ট পরিপাটি করে পরুন, আপনার চুল সিথি করে অফিসে আসুন, আর নিজের মস্তিষ্কের ক্ষমতাকে কিছু সংখ্যক দ্রুত চিন্তাশীল মস্তিষ্কের সারিতে আনবার জন্যে সচেষ্ট হন। তাহলেই আপনি সাচ্ছন্দেই দ্বিতীয় কলাতে পরিণত হতে পারবেন। সবচে উঁচু পদে পদস্খ যে কলাটির মনে নিজের একটা জায়গা করে নেবার কথা ভেবে অফিস ব্রেকে আপনি কৌতুক রসে ভেজাবার চেষ্টা করছেন, সে বোধহয় তার পলিশ করা বিশাল মেহগনী কাঠের ডেস্কটার ওপাশে বসে আছে - তার একপাশে ঝুলছে তার মায়ের ছবি, আর অন্যপাশে পরিবারের সাথে তোলা অন্যদের সম্মিলিত ছবি। আপনি কি ভাবতে পারেন যে ক্যালভীন কুলিজের ক্যাবিনেটে যদি তিনি কাউকে উদ্দ্যেশ্য করে মিটিংয়ের মধ্যেই বলে বসতেন, “তোমার সাথে গতরাতে যে ভদ্রমহিলাকে দেখলাম সে কে?” - তাহলে অবস্খাটা কেমন হতো? আমি একজন কর্মকর্তাকে চিনতাম যে তার প্রতিষ্ঠানের একজন নামী ক্রেতাকে পণ্য সরবরাহের তারিখ বলায় ভুল করেছিল। বিস্তারিত...

No comments:

Post a Comment